আমি মনে করি সফলতার জন্য জীবনে সফলতার গল্প নয় বরং ব্যর্থতার গল্প শুনবেন। ব্যর্থতার কারণ গুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে জানতে পারেন, তাহলে আপনি সফল হবেন। বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে দেখেছেন যে বেশির ভাগ মানুষ কমন কিছু কারণে ব্যর্থ হয়ে থাকে। ব্যর্থতার কিছু কমন কারণ নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে।
পূর্ব পরিকল্পনায় অভাব
জীবনে যে কোন লক্ষ্যে পোঁছানোর জন্য একটি পরিকল্পনা থাকা আবশ্যক। কোন একটি লক্ষ্যে পোঁছানোর জন্য আগে থেকেই একটি পরিকল্পনা থাকলে গন্তব্যে পৌঁছতে সহজ হয়। তবে পরিকল্পনার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য হবে পরিষ্কার এবং সুনির্দিষ্ট ।
আর যদি পরিকল্পনা মাফিক পরিশ্রম করার মানুষিকতা না থাকে তাহলে ব্যর্থতা নিশ্চিত আপনার কাছে ধরা দিবে। আর যারা কমার্সের স্টুডেন্ট তাদেরকে পরিকল্পনার ব্যাপারে নতুন করে বুঝাতে হবে না কারণ তারা শিক্ষা জীবনে পরিকল্পনার গুরুত্ত্ব ভালো ভাবে অধ্যয়ন করে এসেছে।
এগিয়ে যেতে ভয়
অনেকেই আছেন যারা পরিকল্পনা ঠিকই করেছেন এবং পরিকল্পনা মাফিক কিছু কাজও এগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাদের মনে সারাদিন এ ভাবনা কাজ করে আমি যদি ব্যর্থ হই, আমি যদি না পারি, তাহলে কী হবে… এ ধরণের চিন্তায় তাঁরা অস্থির থাকে সারাদিন। এটি ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়।
আত্ববিশ্বাসের অভাব
আমি কিছুই পারি না, আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না, এ ধরণের মানুষিকতা যাদের, তাঁরা জীবনে কোন কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারে না। তাঁরা ছোট ছোট কাজ করতেও ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। আত্ববিশ্বাস না থাকলে আপনি কখনো লক্ষ্যে পোছাতেঁ পারবেন না।
“না” বলতে দ্বিধা
পৃথিবীতে হাজারো মানুষ আছে যারা অনেক বার ব্যর্থ হয়েছেন কারণ যেখানে না বলা প্রয়োজনছিল সেখানে তাঁরা হ্যাঁ বলেছেন। “না” এমন একটি শক্তিশালী শব্দ যা আপনাকে অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারে।যদি কোন প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগে আপনার মনে হয় যে আপনি পারবেন না, তবে সেখানে অযথা ‘হ্যাঁ’ কথাটি বলার দরকার নেই। সফল হতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে “না” বলা শিখুন বা শিখতে হবে আপনাকে।
অজুহাত দাঁড় করানো
কিছু মানুষ আছে যারা নিজের ব্যর্থতার দায় অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তারা কোন কাজ সঠিক ভাবে করতে না পারলে, বিভিন্ন অজুহাত দাঁড় করিয়ে দেয়। আমি এর জন্য পারি নি, ওর জন্য পারি নি, আমার এটা থাকলে আমি পারতাম ..ইত্যাদি । তাঁরা ব্যর্থতার কারণ বের করে এর থেকে শিক্ষা নেয় না। তাঁরা এটা মানতে নারাজ যে ব্যর্থতার পরে জীবনে সফলতা আসে। এমন অভ্যাস আপনাকে কোনদিন সফল হতে দেবে না।
সবজান্তা মনোভাব
আমরা সবাই এ কথা জানি, শিক্ষার কোন বয়স নেই এবং শিক্ষা ছোট বড় সবার কাছ থেকে নেওয়া যায়। অনেক মানুষ আছে যারা নিজেকে সবজান্তা মনে করেন,তাঁরা নিজেকে অনেক বড়ও মনে করে। অন্যদের কাছ থেকে তাঁরা শিখতে চায় না বা লজ্জাবোধ করে। এ ধরণের মানুষ জীবনে ব্যর্থ হয় বেশি।
খুব দ্রুত ফলাফল প্রতাশা
কিছু মানুষ আছে যারা যে কোন কাজের ফল অতি দ্রুত চায়। তাঁরা মনে করে সাফাল্যে খুব স্বল্প সময়ে তাদের কাছে ধরা দিবে। এ ধরণের চিন্তা ব্যর্থতার একটি অন্যতম কারণ।
অন্যের সমালোচনা করা
অন্যের সমালোচনা একটি মারাত্মক খারাপ এবং বাজে অভ্যাস। প্রতিনিয়ত অন্যের দোষ ত্রুটি খুজঁতে গিয়ে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করা বোকামি ছাড়া কিছুই না। এ ধরণের অভ্যাস আপনার সাফল্যের পিছনে বাধা সৃষ্টি করে। প্রতিদিন একটা সময় নিয়ে নিজের দোষ ত্রুটি গুলো নিয়ে সমালোচনা করাই হচ্ছে বুদ্ধিমানের কাজ।
অহংকার
অহংকার ছোট্ট একটি বাক্য। কিন্তু এর ফলাফল অনেক ভয়াবহ। এটি নিয়ে বলার মত নতুন কিছু নেই, কারণ আমরা সবাই জানি “অহঙ্কার পতনের মূল”।
চাকরি খোজাঁর জনপ্রিয় ৫ টি ওয়েব সাইট