কাতার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশের তালিকায় নামটি প্রথমেই থাকবে। কাতার সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা এবং ব্যবসায় ভিসা ইস্যু করে থাকে। পর্যটন এবং ব্যবসায়িক ভিসার জন্য যে সকল নথির প্রয়োজন হয় তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে-
কাতারের পর্যটন ভিসা
কাতার ভ্রমণের জন্য যে সকল ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়-
পাসপোর্ট: আবেদনকারীকে একটি অরজিনাল পাসপোর্ট জমা দিতে হবে । পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস থাকতে হবে। পাসপোর্টে অবশ্যই কমপক্ষে দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।যদি আবেদনকারীর পুরানো পাসপোর্ট থাকে, তবে তাকে সেটি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ভিসা আবেদনপত্র: ভিসা আবেদন ফর্ম অনলাইনে সবতথ্য সঠিক দিয়ে পূরণ করতে হবে। অনলাইন আবেদন ফরমটি সাবধানতা অবলম্বন করে পূরণ করতে হবে।
ছবি:- সম্প্রতি তোলা দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। ছবি তোলার সময় যাতে চোখে চশমা না থাকে সেটি লক্ষ্য রাখবেন।
কভার লেটার: ব্যক্তিগত বিবরণ, পরিদর্শনের উদ্দেশ্য ইত্যাদি বিবরণ দিয়ে একটি লেটার লিখতে হবে।
ট্যুরের পরিকল্পনা: আবেদনকারীদের তার সমস্ত ট্যুর প্ল্যান জমা দিতে হবে। তিনি কত দিন থাকবেন, কোন জায়গায় যাবেন বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে।
অফিস আইডি কার্ড: অফিসের আইডি কার্ড/ভিজিটিং কার্ডের কপি জমা দিতে হবে (৩ কপি)।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আবেদনকারীকে অবশ্যই গত ছয় মাসের জন্য তার ব্যক্তিগত ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। সেটিতে অবশ্যই ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাক্ষর থাকতে হবে।
হোটেল রিজার্ভেশন: ভ্রমণের সময়সূচী অনুযায়ী আবেদন কারীকে হোটেল বা রিসর্ট উল্লেখ করতে হবে।
কাতারের ব্যবসায়িক ভিসা
যারা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য কাতার যেতে চান। তাদের জন্য নিচের দেওয়া নথিগুলো প্রয়োজন হবে-
পাসপোর্ট: আবেদনকারীকে পাসপোর্টের অরজিনাল কপি জমা দিতে হবে।
আবেদনকারীর বর্তমান পাসপোর্টে অবশ্যই দুটি খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে। যদি আগের কোর পাসপোর্ট থাকে সেটিও জমা দিতে হবে।
ভিসা আবেদনপত্র: ভিসার প্রাথমিক আবেদন অনলাইনে করতে হবে। অনলাইনে পাসপোর্টে দেওয়া তথ্যের সাথে মিল রেখে সাবধানতার সাথে পূরণ করতে হবে।
ছবি:- সম্প্রতি তোলা দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে। ছবি তোলার সময় চোখে শচমা রাখা যাবেনা।
আমন্ত্রণ পত্র: হোস্ট বা আমন্ত্রিত ব্যক্তির কাছ থেকে একটি আমন্ত্রণ পত্রের একটি আসল অনুলিপি।
ট্রেড লাইসেন্স: আবেদনকারীকে বৈধ ট্রেড লাইসেন্সের একটি পরিষ্কার স্ক্যান করা কপি জমা দিতে হবে।
ব্যাংক স্টেটমেন্ট: আবেদনকারীকে অবশ্যই গত ছয় মাসের তার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে।
বিমান টিকেট: আবেদন কারীকে বিমানের টিকেটের একটি কপি জমা দিতে হবে।
হোটেল বুকিং:- আবেদন কারীকে হোটেল বুকিং এর প্রমান সাবমিট করতে হবে। তিনি সেখানে গিয়ে কোন হোটেলে কত দিন থাকবেন সেটির তথ্য
আবেদনকারীর বাসস্থানের জন্য একটি সংরক্ষিত ভ্রমণপথ। ভ্রমণের সময়সূচী অনুযায়ী তাকে হোটেল বা রিসর্ট উল্লেখ করতে হবে।
আরো জানুন:- কাতারের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা