পবিত্র রমজান মাসের প্রথম রাত হতে আরম্ভ করে শাওয়ালের চাঁদ উঠা পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে এশার নামাজের পর এবং বেতরের পূর্বে দুই রাকআত করে দশ সালামে বিশ রাকআত নামাজ পড়তে হয়। একে তারাবির নামাজ বলে।
তারবির নামাজ সুন্নতে মোয়াক্কাদা। তারাবির নামায জামাআতে উত্তর। তবে জামাআতে না পড়তে পারলে একাকী পড়বে। মেয়েলোকগণ গৃহে একাকী তারাবির নামাজ আদায় করবে। ইমাম কোরআনে হাফেজ হলে তারাবির নামাযে এক খতম কোরআন পাঠ করবে।
তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলা
আরো পড়ুন:- রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা
তারাবির নামাজের মোনাজাত
প্রতি চার রাকাত পর পর কিছু সময়ের জন্য বিরতি দিতে হয় আর এ সময় মোনাজাত দেওয়া হয়ে থাকে। কারো যদি মোনাজাত শুদ্ধ ভাবে মুখস্ত না থাকে তাহলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন।
আরো পড়ুন:-ইফতারের দোয়া আরবি এবং বাংলা
তারাবির নামাজের দোয়া
প্রতি চার রাকাত পর পর নিচের দোয়াটি পড়তে হবে। অন্য যে কোন দোয়া-দুরূদ ও পড়া যাবে। তবে সহীহ শুদ্ধ করে পড়তে হবে অন্যথায় চুপ করে বসে থাকবে।
আরো পড়ুন:- রোজা ভঙ্গের কারণ
তারাবির নামাজের নিয়ম কানুন
বিশ রাকাতে বিশটি সূরা বা প্রথম রাকাতে ফাতিহা বাদে একটি সূরা এবং দ্বিতীয় রাকআতে ফাতিহার সাথে কুলহুআল্লাহ পাঠ করলে ১০টি সূরা দ্বারা তারাবির নামাজ আদায় করা যায়।
তারাবির নামাজ জামাতে পড়লে কোরআন উচ্চ শব্দে পড়তে হয়। একাকী পড়লে কোরআন চুপে চুপে বা জোরে উভয় নিয়মে পড়া যায়। তারাবির শেষ করে বেতের পড়তে হয় । তারাবীহ জামাআতে পড়লে বেতেরও জামাআতে পড়তে হবে।