তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা নামাজের গুরুত্বপূর্ণ এই দোয়াগুলো সঠিকভাবে পড়ার জন্য স্পষ্ট উচ্চারণ ও অর্থ বোঝা অত্যন্ত জরুরি। তাই, যারা শুদ্ধভাবে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ এবং দোয়া মাসুরা শিখতে চান, তাদের জন্য এ আর্টিকেলটি। আশাকরি আপনারা সবগুলো দোয়ার আরবি বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থসহ জানতে পারবেন।
Table of Contents
তাশাহুদ
তাশাহুদ হল নামাজের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দোয়া, নামাজের বৈঠকে বসে পড়তে হয়। এটি “আত্তাহিয়াতু” নামে পরিচিত এবং ইসলামের অন্যতম মৌলিক ইবাদতের অংশ। তাশাহুদ শব্দটি এসেছে আরবি শাহাদাহ শব্দ থেকে, যার অর্থ সাক্ষ্য দেওয়া। এটি হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আমাদের শেখানো দোয়াগুলোর একটি, যা মহান আল্লাহর প্রশংসা, নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি সালাম এবং ঈমানের ঘোষণাকে সংযুক্ত করে।
তাশাহুদ আরবি
তাশাহুদ নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রত্যেক দুই রাকাত পর বা শেষ বৈঠকে এটি পড়া বাধ্যতামূলক।এতে আল্লাহর একত্ববাদ ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নবুয়তের সাক্ষ্য দেওয়া হয়, যা ইসলামের মূল ভিত্তির একটি। হাদিস অনুযায়ী, নবী মুহাম্মদ (সা.) সাহাবিদের তাশাহুদ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি নিজেও তা নিয়মিত পড়তেন (বুখারি ও মুসলিম)।
আরবি:
ٱلتَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَٱلصَّلَوَاتُ وَٱلطَّيِّبَاتُ، ٱلسَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ وَرَحْمَةُ ٱللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ، ٱلسَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَىٰ عِبَادِ ٱللَّهِ ٱلصَّالِحِينَ، أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
এই দোয়ায় মাধ্যেমে আল্লাহর প্রশংসা, দরুদ এবং কল্যাণ কামনা রয়েছে, যা আমাদের জন্য বরকত বয়ে আনে।এতে নবী (সা.)-এর প্রতি শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়, যা আমাদের জন্য সওয়াবের কারণ হয়।
আরো পড়ুন: আসসালামু আলাইকুম অর্থ
তাশাহুদ বাংলা উচ্চারণ
তাশাহুদের মাধ্যমে একজন মুমিন আল্লাহর প্রতি তার আনুগত্য ও বিনয় প্রকাশ করে। এখানে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয় এবং স্বীকার করা হয় যে তিনিই একমাত্র উপাসনার যোগ্য।
বাংলা উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্-সালাওয়াতু ওয়াত্-তাইয়িবাতু, আস-সালামু আলাইকা আইয়ুহান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু, আস-সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন। আশহাদু আল্লাহ ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।
তাশাহুদ বাংলা অর্থ
তাশাহুদের মাধ্যেমে আমরা নিজের ভুল ও গুনাহের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই এবং তাঁর রহমত কামনা করি। তাশাহুদে সকল মুমিন বান্দাদের জন্য দোয়া করা হয়, যা সকল মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও একতার পরিচয় বহন করে।
বাংলা অর্থ: সমস্ত প্রশংসা, দোয়া ও পবিত্র জিনিসসমূহ একমাত্র আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপনার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপরও। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল।
তাশাহুদ নিয়ে প্রশ্ন ও উত্তর
তাশাহুদ কখন পড়তে হয়।
নামাজে তাশাহুদ দুইবার পড়তে হয়, যদি নামাজ তিন বা চার রাকাতের হয়। আর যদি দুই রাকাতের নামাজ হয়, তাহলে একবার পড়তে হয়।
নামাজে তাশাহুদ পড়া কি ওয়াজিব?
হ্যাঁ, নামাজে তাশাহুদ (অর্থাৎ, আত-তাহিয়াতু) পড়া ওয়াজিব। এটি শেষ বৈঠকে (আখিরি কায়দায়) পড়তে হয়, এবং যদি কেউ ভুলে এটি ছেড়ে দেয়, তাহলে সাজদাহ সাহু করা ওয়াজিব হয়। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে তাশাহুদ না পড়লে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।
ইমামের পিছনে তাশাহুদ না পড়লে নামাজ হবে কিনা?
হ্যাঁ, নামাজ শুদ্ধ হবে? ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার সময় যদি কেউ তাশাহুদ পড়তে ভুলে যায়, তাহলে তার নামাজ হয়ে যাবে। কারণ ইমামের অনুসরণ করাই এখানে প্রধান।
নামাজে তাশাহুদ পড়ার সময় আঙুলের ইশারা কখন করবেন
আঙুলের ইশারা করা সুন্নাত, আত্তাহিয়াতুর শেষে “লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” বলার সময় ইশারা করা হয়।
নামাজে তাশাহুদ পড়ার হুকুম কি।
নামাজে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব। যদি কেউ ভুলে তাশাহুদ পড়তে ভুলে যায়, তাহলে সাজদাহ সাহু করতে হবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে তাশাহুদ না পড়লে নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন: ছেলেদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
তাশাহুদ এর ফজিলত
তাশাহুদ নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এতে অনেক ফজিলত রয়েছে। এটি শুধু একটি দোয়া নয়, বরং তাশাহুদে তাওহিদ, নবুওয়ত ও আল্লাহর প্রশংসা রয়েছে, যা ঈমানের মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে পড়ে।
- তাশাহুদ পাঠের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর খুব কাছে চলে যায়।
- তাশাহুদ পাঠের মাধ্যমে শয়তানের অনিষ্ট থেকে বাঁচা যায়।
- তাশাহুদ পাঠের পর দোয়া করলে তা কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
- তাশাহুদ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করে দেন।
তাশাহুদ ছাড়া নামাজ পরিপূর্ণ হয় না।এটি নামাজের মধ্যে আল্লাহর প্রশংসা, ঈমানের ঘোষণা এবং নবী এর প্রতি সালাম ও দরুদ পাঠের সম্মিলন।
দুরুদ শরীফ
দুরুদ শরীফ পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। এর মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ করা যায়। দুরুদ শরীফ হল একটি বিশেষ দোয়া, যা আমরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শান্তি ও কল্যাণ কামনা করার জন্য পড়ে। এটি সরাসরি কুরআন ও হাদিস দ্বারা প্রমাণিত একটি আমল, যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আদেশপ্রাপ্ত।
দুরুদ শরীফ আরবি
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَّيتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ، وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ
দুরুদ শরীফ বাংলা উচ্চারণ
আল্লা-হুম্মা সাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আ-লি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লা-হুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিউওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন, কামা বা-রাকতা ‘আলা ইব্রাহীমা ওয়া ‘আলা আ-লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্ মাজীদ।
দুরুদ শরীফ বাংলা অর্থ
হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরের প্রতি রহমত নাযিল করো যেমন রহমত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরের প্রতি বরকত নাযিল করো যেমন বরকত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম (আ.) ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। (সহীহ বুখারী, হাদীস:২৯৭০)
আরো পড়ুন: আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
দুরুদ শরীফ এর ফজিলত
দুরুদ শরীফ পাঠ করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি আমল। এর অসংখ্য ফজিলত রয়েছে।
- দুরূদ পাঠ করা আল্লাহর নির্দেশিত ইবাদত।
- এতে ১০ গুণ সওয়াব, গুনাহ মাফ ও জান্নাতে সুপারিশ পাওয়া যায়।
- জীবনের সকল দুঃশ্চিন্তা ও বিপদ থেকে মুক্তি পেতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।
- দুরুদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বরকত লাভ হয়।
- দুরুদ শরীফ পাঠের পর দোয়া করলে সেই দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
দুরুদ শরীফ পাঠ করা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। তাই, আমাদের উচিত বেশি বেশি করে দুরুদ শরীফ পাঠ করা এবং এর ফজিলত লাভ করা।
দুরুদ শরীফ পাঠ করা ইসলামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। এটি শুধু নবী (সা.)-এর প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ নয়, বরং এটি পড়ার মাধ্যমে আমরা অগণিত নেকি লাভ করতে পারি, গুনাহ মাফ করাতে পারি এবং আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারি। তাই প্রতিদিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা উচিত।
দোয়া মাসুরা আরবি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
দোয়া মাসুরা বলতে সাধারণত সানা, রুকু-সিজদার তাসবিহ, রাব্বানা দোয়াগুলো, ও তাশাহুদের পরের দোয়াগুলোকে বোঝায়। দোয়া মাসুরা’ হলো সেই বিশেষ দোয়াগুলো, যা সরাসরি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বয়ং আমাদের শিখিয়েছেন।
দোয়া মাসুরা নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদের পর পড়া হয়। দোয়া মাসুরা পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। নিচে দোয়া মাসুরা আরবি বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থসহ আলোচনা করা হয়েছে-
দোয়া মাসুরা আরবি
اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ ظُلْمْاً كَثِيْراً، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِيْ مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ
দোয়া মাসুরা বাংলা উচ্চারণ
আল্লাহুম্মা ইন্নি যলামতু নাফসি যুলমান কাসিরা । ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফির লি । মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা । ওয়ার হামনি । ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রাহিম ।
দোয়া মাসুরা বাংলা অর্থ বা অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজ আত্মার উপর বড়ই অত্যাচার করেছি, গুনাহ মাফকারী একমাত্র আপনিই । অতএব আপনি আপনা হতেই আমাকে সম্পূর্ণ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন । নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল দয়ালু ।
দোয়া মাসুরা এর ফজিলত
দোয়া মাসুরা নামাজে পড়ার অনেক ফজিলত রয়েছে। দোয়া মাসুরা সরাসরি রাসূলুল্লাহ (সা.)- এর আমলকৃত দোয়া। এটি পড়ার মাধ্যমে আমরা তাঁর সুন্নাহ অনুসরণ করতে পারি এবং সাওয়াব অর্জন করতে পারি। নামাজের মধ্যে দোয়া মাসুরা পড়লে নামাজ শুদ্ধ ও পূর্ণতা পায়।
- নামাজের শুদ্ধতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি
- সওয়াব ও পুরস্কার
- আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়া
- নবীএর অনুসরণ
- অন্তরের শান্তি পূর্ণতা এবং তাওবা
রাসূল (সা.) নিজে এ দোয়াগুলো পড়েছেন এবং তাঁর সাহাবাদেরও শিখিয়েছেন।দোয়া মাসুরার মাধ্যমে আমরা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে মুক্ত থাকতে পারি এবং আত্মার প্রশান্তি লাভ করতে পারি।
আরো পড়ুন: তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও ফজিলত
দোয়া মাসুরা প্রশ্ন ও উত্তর
দোয়া মাসুরা হলো রাসূলুল্লাহ এর শেখানো দোয়াগুলির সংকলন, যা আমরা নামাজের বিভিন্ন অংশে পড়ি। এতে বিভিন্ন দোয়া রয়েছে যেমন: সানা, রুকু, সিজদা, দুই সিজদার মাঝে, তাশাহুদ ইত্যাদি। দোয়া মাসুরা নিযে সবচেয়ে বেশি জিঞ্জাসিত প্রশ্ন এবং উত্তর নিচে দেওয়া হলো-
নামাজে দোয়া মাসুরা পড়া কি জরুরী
না, এটি বাধ্যতামূলক নয় (ফরজ বা ওয়াজিব নয়)। তবে এটি মুস্তাহাব (উত্তম ও সুন্নাত)। কেউ না পড়লে তার নামাজ শুদ্ধ হবে, তবে সুন্নাত আমল থেকে বঞ্চিত হবে।
দোয়া মাসুরা কয়টি
দোয়া মাসুরার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই। দোয়া মাসুরা হলো সেই দোয়া যা রাসূলুল্লাহ নামাজে শিখিয়েছেন এবং তা নামাজের বিভিন্ন অংশে পড়া হয়।
দোয়া মাসুরা পড়া কি ওয়াজিব
দোয়া মাসুরা পড়া ওয়াজিব নয়, তবে এটি সুন্নাত।
দোয়া মাসুরা কখন পড়তে হয়/ দোয়া মাসুরা কোথায় পড়তে হয়
দোয়া মাসুরা নামাজের বিভিন্ন অংশে পড়া হয়। যেমন: নামাজ শুরুতে – সানা, রুকুতে – সুবহানারাব্বিয়াল আজিম, সিজদাতে – সুবহানারাব্বিয়াল আ’লা, দুই সিজদার মাঝে – রাব্বিগফিরলি, তাশাহুদ পর – রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া ওয়া ফিল আখিরা শেষে – দোয়া তাশাহুদ
দোয়া মাসুরা কি বাধ্যতামূলক
দোয়া মাসুরা নামাজের মধ্যে পড়া ওয়াজিব বা ফরজ নয়, তবে এটি সুন্নাত।নামাজ শুদ্ধ হবে যদি দোয়া মাসুরা না পড়া হয়, তবে সুন্নাত অনুযায়ী পড়া উত্তম এবং এতে সওয়াব পাওয়া যাবে।
দোয়া মাসুরা পরিবর্তে কি পড়া যায়
দোয়া মাসুরা পরিবর্তে নামাজে সাধারণ দোয়া পড়া যেতে পারে, তবে তা ওয়াজিব বা ফরজ নয়। সবচেয়ে ভালো হবে দোয়া মাসুরা পড়ার চেষ্টা করা।
দোয়া মাসুরা ছাড়া কি নামাজ হবে
দোয়া মাসুরা নামাজের মধ্যে একটি সুন্নাত আমল, তবে এটি ওয়াজিব বা ফরজ নয়।দোয়া মাসুরা পড়লে বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে এবং নামাজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।