বায়ু দূষণ হল বায়ুমণ্ডলে এমন সব পদার্থের উপস্থিতি যা মানুষ এবং অন্যান্য জীবের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
বায়ু দূষণের প্রধান প্রধান কারণ
জ্বালানী পোড়ানো: জীবাশ্ম জ্বালানি, যেমন কয়লা, তেল এবং গ্যাস পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গত হয়, ফলে বায়ু দূষিত হয়।
যানবাহন:- যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া বায়ু দূষণের একটি প্রধান কারণ।
শিল্প-কারখার:- শিল্প-কারখানার কার্যক্রম, যেমন সিমেন্ট উৎপাদন এবং রাসায়নিক উৎপাদন, বিভিন্ন ধরনের বায়ুদূষক নির্গত করে, যার ফলে বায়ু দূষিত হয়ে থাকে।
কৃষি: কৃষি কার্যক্রম, যেমন সার এবং কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বায়ু দূষিত হয়ে থাকে।
বন ধ্বংস: বন উজাড়ের ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়।
বায়ু দূষণের প্রভাব
মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি: বায়ু দূষণ ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো বিভিন্ন রোগের কারণ।
জলবায়ু পরিবর্তন: বায়ু দূষণ গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন বাড়ায়, যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী।
পরিবেশের ক্ষতি: বায়ূ দূষণের ফলে প্রকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি বেশি হয়ে থাকে।
বায়ু দূষণ রোধে কিছু পদক্ষেপ হল:
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো: নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করে বায়ু দূষণ কমানো যায়। তাই আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে।
শিল্প-কারখার কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ: শিল্প-কারখানার কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বায়ুদূষণ কমানো যায়।
বনায়ন বৃদ্ধি করা: গাছপালা বায়ু দূষণ থেকে পরিবেশকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। তাই আমাদের বেশি বেশি পরিমানে গাছ লাগাতে হবে।
বায়ু দূষণ একটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবেলায়, বায়ু দূষণ রোধে উপরে উল্লিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা অতি প্রয়োজন।
আরো পড়ুন:- বিশ্ব উষ্ণায়ন কাকে বলে