যে পদের দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে।
আরিফ বই পড়ছে। তোমরা আগামী বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে।
‘পড়ছে’ এবং ‘দেবে’ পদ দুটো দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন করা বোঝাচ্ছে বলে এরা ক্রিয়াপদ।
ক্রিয়াপদের গঠন :
ক্রিয়ামূল বা ধাতুর সঙ্গে পুরুষ অনুযায়ী কালসূচক ক্রিয়াবিভক্তি যোগ করে ক্রিয়াপদ গঠন করতে হয়। যেমন-
‘পড়ছে’ – পড় ‘ধাতু’ + ‘ছে’ বিভক্তি। |
অনুক্ত ক্রিয়াপদ
বাক্যে ক্রিয়াপদ উহ্য বা অনুক্ত থাকতে পারে। যেমন-
তোমার মা কেমন? = তোমার মা কেমন আছেন ? | আজ প্রচণ্ড গরম = আজ প্রচণ্ড গরম (অনুভূত হচ্ছে)। |
ইনি আমার ভাই = ইনি আমার ভাই (হন) । | ***বাক্যে সাধারণত ‘হ্’ এবং ‘আছ’ ধাতু গঠিত ক্রিয়াপদ উহ্য থাকে। |
ক্রিয়ার প্রকারভেদ
ভাব প্রকাশের দিক দিয়ে ক্রিয়াপদকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়—
সমাপিকা ক্রিয়া | অসমাপিকা ক্রিয়া। |
সমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে
যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের (মনোভাবের) পরিসমাপ্তি জ্ঞাপিত হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন –
এ বছর বন্যায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। | ছেলেরা খেলা করছে। |
অসমাপিকা ক্রিয়া কাকে বলে
যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের পরিসমাপ্তি ঘটে না, বক্তার কথা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন-
আমরা বিকেলে খেলতে………… | প্রভাতে সূর্য উঠলে……. |
এখানে, ‘উঠলে’ খেলতে’ ক্রিয়াপদগুলোর দ্বারা কথা শেষ হয়নি; কথা সম্পূর্ণ হতে আরও শব্দের প্রয়োজন। তাই এ শব্দগুলো অসমাপিকা ক্রিয়া ।
আরো পড়ুন:- বাক্য কাকে বলে