আসসালামু আলাইকুম

Assalamualaikum Bangla | আসসালামু আলাইকুম

আসসালামু আলাইকুম এর বাংলা অর্থ।

আস-সালামু আলাইকুম এর অর্থ “আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক”। সালামা সম্মানজনক, অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামি অভিবাদন। তাছাড়া ‘আস্‌-সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে একটি অন্যতম নাম ।

সালামের ইতিহাস

হাদিস অনুযায়ী মহান আল্লাহ তায়লা প্রথম মানব আদম (আঃ) কে সালামের শিক্ষা দেন। এ সম্পর্কে আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত আছে যে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) বলেন,

আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করে বলেন, যাও ফেরেশতাদের দলকে সালাম দাও এবং তোমার সালামের কি উত্তর দেয় মন দিয়ে শুন। এটিই হবে তোমার আর তোমার সন্তানদের জন্য সালাম। সে অনুযায়ী আদম গিয়ে বলেন, “আস্সালামু আলাইকুম” । ফেরেশতারা উত্তর দেন, “ওয়া-আলাইকুমুস সালাম ওয়া-রহমাতুল্লাহি” (অৰ্থ: আপনাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহর দয়া বর্ষিত হোক)। এক্ষেত্রে ফেরেশতারা রাহমাতুল্লাহ শব্দটি বৃদ্ধি করেন।

অন্যান্য নবিদের জীবনেও সালামের প্রচলন ছিল।

হযরত মুহাম্মদ (স.) এর স্ত্রীদের নামের তালিকা

নির্দেশনা

সালাম দেয়া সুন্নাহ। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়লা বলেন,

হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম। যাতে তোমরা স্মরণ রাখো।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেন,

তোমরা অন্যের গৃহে গিয়ে তিনবার সালাম দিবে এবং অনুমতি প্রার্থনা করবে। অনুমতি নাদিলে চলে আসবে।

ছোটদের সালাম দেওয়া যাবে কী?

ছোটদের সালাম দেয়া মুস্তাহাব। হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, আমি ছোটদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সালাম দেই এবং হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-ও অনুরূপ করতেন।

নারীদের সালাম দেওয়া যাবে কি?

নারীদের সালাম দেয়া পুরুষদের পরস্পরের সালামের মতই কোনো পার্থক্য নাই। একজন পুরুষ যেমন অপর পুরুষের সাথে মুসাফাহা করা মুস্তাহাব, তেমনিভাবে একজন নারী অপর একজন নারীর সাথে মুসাফাহা করা মুস্তাহাব।

সালামের পদ্ধতি

সালাম দেয়ার সময় কেউ যদি আসসালামু আলাইকুম এবং উত্তর দেয়ার সময় শুধু  ওয়া-আলাইকুমুস সালাম বলে, তাতেও সালাম আদায় হয়ে যাবে।

একজন মুসলিমের সাথে যতবার দেখা হবে ততবারই তাকে সালাম দেওয়া যাবে। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সালামকে প্রসার করার নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তোমরা সালামকে প্রসার কর।

সালামের উত্তর

সালামের উত্তর দেয়া ফরযে কিফায়াহ।

চিঠির মাধ্যেমে সালাম দেওয়া যাবে কী?

হ্যাঁ, চিঠির মাধ্যেমেও সালাম দেওয়া যাবে।

কোনো ব্যক্তি দূর থেকে চিঠির মাধ্যমে বা দূতের মাধ্যমে কাউকে সালাম দেয়, তখন তার নিকট সালাম পৌছার পর সালামের উত্তর দেয়া ওয়াজিব হয়ে যায়।

আরো জানুন:- বদরের যুদ্ধে শহীদ হওয়া ৩১৩ জন সাহাবীর নাম

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *