বিশ্ব উষ্ণায়ন হল পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি। এটি সাধারণত প্রাকৃতিক কারণ এবং মানব কার্যকলাপের কারণে হয়ে থাকে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণ
বিশ্ব উষ্ণায়নের মানব কারণ:-মানব কার্যকলাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দায়ী হল গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন। গ্রিনহাউস গ্যাসগুলি বায়ুমণ্ডলে থাকে এবং তারা সূর্যের তাপকে পৃথিবীতে আটকে রাখে।
জ্বালানী পোড়ানো: জীবাশ্ম জ্বালানী, যেমন কয়লা, তেল এবং গ্যাস পোড়ানোর ফলে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়।
শিল্প-কারখানা: শিল্প কার্যক্রম, যেমন সিমেন্ট উৎপাদন এবং রাসায়নিক উৎপাদন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে।
কৃষি: কৃষি কার্যক্রম, যেমন বন উজাড় এবং চাষ, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত করে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রাকৃতিক কারণ:- সৌর ক্রিয়াকলাপ:- সূর্যের ক্রিয়াকলাপ পৃথিবীর তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভূতাত্ত্বিক:- ভূতাত্ত্বিক কার্যকলাপ, যেমন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, পৃথিবীর তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাব
জলবায়ু পরিবর্তন: বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমন তীব্র বৃষ্টিপাত, খরা এবং ঝড়ের ঘটনা।
সামুদ্রিক স্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি: বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলে যাওয়ার কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্ব উষ্ণায়ন মোকাবেলায়, গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হ্রাস করার জন্য বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধে করণীয়
পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা: আমরা যদি আমাদের পরিবহন ব্যবস্থায় পরিবর্তন করতে পারি, তাহলে আমরা আরও কম জ্বালানী ব্যবহার করতে পারি এবং গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে পারি।
বনায়ন বৃদ্ধি করা: গাছপালা গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণ করে, তাই বনায়ন বৃদ্ধি করে বা বেশি বেশি গাছ লাগিয়ে আমরা গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমাতে পারি।
নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করা: নবায়নযোগ্য জ্বালানি, যেমন সৌরশক্তি এবং বায়ু শক্তি, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে না। তাই নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।
উপরের পদক্ষেপ গুলো নিয়ে আমরা বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রভাবগুলি কমাতে এবং একটি টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারি।