ক্রিয়ার ভাব কাকে বলে
সূর্য অস্ত যাচ্ছে। এখন বাড়ি যাও। সে পড়লে পাশ করত। তোমার কল্যাণ হোক ৷
ওপরের বাক্যগুলোতে ক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার বিভিন্ন রীতি প্রকাশ পেয়েছে। ক্রিয়ার যে অবস্থার দ্বারা তা ঘটার ধরন বা রীতি প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার বলে।
ক্রিয়ার ভাব বা ধরন চার প্রাকার। যথা:-
নির্দেশক ভাব
কিছু জিজ্ঞাসা করলে ক্রিয়াপদের নির্দেশক ভাব হয় ৷যথা—
প্রশ্ন জিজ্ঞাসায়: | আপনি কি আসবেন? সে কি গিয়েছিল? |
সাধারণ নির্দেশক: | আমরা বই পড়ি। তারা বাড়ি যাবে। |
অনুজ্ঞা ভাব
আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, অনুরোধ, আশীর্বাদ ইত্যাদি সূচিত হলে ক্রিয়াপদের অনুজ্ঞা ভাব হয়। যেমন-
উপদেশাত্মক: | বর্তমানে কালে- ভবিষ্যৎ কালে- | মন দিয়ে পড় । স্বাস্থ্যের প্রতি দৃষ্টি রেখো |
অনুরোধসূচক: | বর্তমান কালে- ভবিষ্যৎ কালে- | ছাতাটা দিন তো ভাই । আপনারা আসবেন |
আদেশাত্মক: | বর্তমান কালে – ভবিষ্যৎ কালে- | চুপ কর । তুমি কাল যেও |
নিষেধাত্মক: | বর্তমান কালে- ভবিষ্যৎ কালে- | অন্যায় কাজ করো না ৷ মিথ্যা বলবে না। |
সাপেক্ষ ভাব
একটি ক্রিয়ার সংঘটন অন্য একটি ক্রিয়ার ওপর নির্ভর করলে, নির্ভরশীল ক্রিয়াকে সাপেক্ষ ভাবের ক্রিয়া বলা হয়। যেমন-
উদ্দেশ্য বোঝাতে | ভালো করে পড়লে সফল হবে। |
সম্ভাবনায় | তিনি ফিরে এলে সবকিছুর মীমাংসা হবে। যদি সে পড়ত তবে পাশ করত। |
ইচ্ছা বা কামনায় | আজ বাবা বেঁচে থাকলে আমার এত কষ্ট হতো না। |
আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব
যে ক্রিয়াপদে বক্তা সোজাসুজি কোনো ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে, তাকে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাবের ক্রিয়া বলা হয়। যেমন-
তার মঙ্গল হোক । | সে যাক। বৃষ্টি আসে আসুক । |
যা হয় হোক। | সে একটু হাসুক। |
আরো পড়ুন:- তদ্ধিত প্রত্যয়