লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন, রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ, যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না, যে সমস্ত কারণে রোজা ভঙ্গ করা যায়, যে অবস্থায় রোজা কাযা করা যায় রোজার কাফ্ফারার নিয়ম এবং রোজার মাকরূহসমূহ ।
Table of Contents
- কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায়
- যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না
- যে সমস্ত কারণে রোজা ভঙ্গ করা যায়
- রোজার মাকরূহসমূহ
- যে অবস্থায় রোজা কাযা করা যায়
- রোযার কাফ্ফারার নিয়ম
কি কি কারণে রোজা ভেঙে যায়
রমজানের রোজা থাকা অবস্থায় আমরা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে অনেক ভুল করে থাকি। তবে এমন কিছু ভুল আছে যার জন্য আমাদের রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় । নিচে রোজা ভঙ্গের কারণসমূহ উল্লেখ করা হলো।
(১) নাক-কানে এমনভাবে ঔষধ দেয়া যাতে উহা পেটে বা মাথায় পৌঁছে যায়
(২) ভুলে আহার করতঃ রোযা ভেঙ্গে গেছে ধারণায় পুনরায় পেট পুরে খেলে
(৩) স্বেচ্ছায় মুখ ভর্তি বমি করলে।
(৪) স্ত্রীকে চুম্বন বা স্পর্শ করায় লজ্জাস্থান থেকে পানি বের হলে,
(৫) সারা রমযানে রোযার নিয়ত না করলে
(৬) ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার, স্বামী-স্ত্রী সঙ্গম, ঔষধ ও তামাকাদি পান করলে, এতে কাযা ও কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে।
(৭) গলায় বৃষ্টির পানি প্রবেশ করলে
(৮) অনিচ্ছা সত্ত্বেও কুলির পানি ভেতরে গেলে ।
(৯) অখাদ্য জাতীয় ঘৃণিত বস্তু গিলে ফেললে।
(১০) জবরদস্তি করে কেউ কিছু খাওয়ালে,
(১১) পেট ও মাথার জখমে
আরো পড়ুন:- রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা
যে সব কারণে রোজা ভঙ্গ হয় না
কিছু কিছু কারণে আমরা অনেক সময় মনেকরি আমাদের রোজা ভঙ্গ হয়ে গেছে। কিন্তু কোরআন হাদিসের আলোকে এসব কারনে রোজা ভঙ্গ হয় না। নিচে যে সকল করনে রোজা ভেঙ্গে না যায় তার একটি তালিকা দেওয়া হলো।
(১) বমি উঠে নেমে গেলে
(২) মনের ভুলে পানাহার (কিন্তু পুনঃ না করা)
(৩) খুশবু, আতর ব্যবহার,
(৪) স্বামীর ভয়ে তরকারীর স্বাদ জিহ্বায় দিয়ে ফেলে দিলে।
(৫) থু-থু গিলে ফেললে।
(৬) অনিচ্ছাকৃতভাবে ধুলা, মাছি, ধুঁয়া গলায় ঢুকলে (দিনে মসজিদে আগর বাতি জ্বালানো নিষিদ্ধ)
(৭) পরনিন্দা ও মিথ্যা বললে
(৮) হঠাৎ কানে পানি গেলে,
(৯) বাচ্চাদের খাদ্য চিবালে।
(১০) দিনে স্বপ্নদোষ হলে।
(১১) মূত্রনালীতে ঔষধ দিলে।
যে সমস্ত কারণে রোজা ভঙ্গ করা যায়
নিচে উল্লেখিত কারণে আমরা আমরা রমজানের ফরজ রো ভঙ্গ করতে পারবো।
১। মেয়েলোকের হায়েয-নেফায হলে ।
২। সর্পে দংশন করলে।
৩। রোগ-পীড়া বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকলে ।
৪। গর্ভবতী স্ত্রীলোকের গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকলে ।
৫। পিপাসায় মরণাপন্ন অথবা কঠিন রোগাগ্রস্থ হলে।
৬। দুগ্ধ কমে গিয়ে সন্তানের প্রাণনাশের ভয় থাকলে ।
৭। হঠাৎ পেটের বেদনায় অস্থির হলে।
৮। বৃদ্ধ বৃদ্ধা শক্তিহীন হলে ।
আরো পড়ুন:- ইফতারের দোয়া আরবি এবং বাংলা
রোজার মাকরূহসমূহ
বিভিন্ন করণে রোজা মাকরূহ হয়ে থাকে। তার মধ্যে কমন কয়েকটি কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো।
(১) স্ত্রীকে চুম্বন, স্পর্শ ও আলিঙ্গন,
(২) কোন কারণ ছাড়া চুম্বন ও স্বাদ গ্রহণ,
(৩) ঠাণ্ডা গ্রহণের জন্য হাত, মুখ ধোয়া, কুলি করা।
যে অবস্থায় রোজা কাযা করা যায়
যে সকল কারণে রোজা কাযা করা যায় তার একটি তালিকা নিচে উল্লেখ করা হলো।
(১) পীড়িত ব্যক্তির রোগ বৃদ্ধির আশংকায়
(২) ঋতুবর্তী নারী।
(৩) মুসাফির
(৪) পাগল
(৫) গর্ভবতী ও স্তন্যদায়িনী জননী।
রোযার কাফ্ফারার নিয়ম
রোযার কাফ্ফারার বিধান হল, একটি রোযার বদলে ধারাবাহিক দু’মাস রোযা রাখতে হবে। তা আদায় করতে অক্ষম হলে ৬০ জন ফকিরকে ফিত্রা পরিমাণ দান করতে হবে বা ৬০ জন মিসকীনকে পেট ভরে খানা খাওয়ালে রোযার হক আদায় হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন:- তারাবির নামাজের নিয়ত, মোনাজাত এবং দোয়া