মাস্টার্স ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে

মাস্টার্স ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে ২০২৫

২০২৫ সালে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য এক বড় প্রশ্ন হলো “মাস্টার্স ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে?”। এটি নির্ভর করে কোন বিশ্ববিদ্যালয়, কোর্স এবং বিভাগের ওপর। এখানে বাংলাদেশে কিছু সাধারণ গাইডলাইন, বিশ্ববিদ্যালয়ভেদী পার্থক্য এবং প্রস্তুতির পরামর্শ দেওয়া হলো।

মাস্টার্স ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে

মাস্টার্স ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগে, ফলে বিষয়টি হলো যে অনার্স করার পর মাস্টার্স করতে হয় তো সেই ক্ষেত্রে অনার্স যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করে কিন্তু মাস্টার্স অনেক অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করতে চান সেই ক্ষেত্রে এ বিষয়টি জানতে চান। তাহলে নিচ থেকে জেনে নেব যে মাস্টার্সে ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগে বা ভর্তি হতে কি রকম যোগ্যতা লাগে এছাড়াও আরও কিছু বিস্তারিত সম্পর্কে জেনে নেব।

মাস্টার্স ভর্তি-যোগ্যতার সাধারণ মাপকাঠি

বাংলাদেশে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট GPA (গ্রেড বা পয়েন্ট) শর্তাবলী নির্ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ

  • BSMRAU (বাংলাদেশ সিরিভিল এন্ড মিলিটারি রেজার্ভ ইউনিভার্সিটি)-এর প্রবেশ নিয়ম অনুযায়ী, মাস্টার্সে আবেদন করতে হলে বিওএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ৪-পয়েন্ট স্কেলে কমপক্ষে ৩.০০ GPA থাকতে হবে।
  • DUET (ডিইউইটি)-তে মাস্টার্স-ইনজিনিয়ারিং বা সংশ্লিষ্ট বিভাগে করার জন্য আবেদনকারীর বিয়পি না কমপক্ষে CGPA ২.৭৫ (৪-পয়েন্ট স্কেলে) থাকতে হবে।
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (JU)-এ মাস্টার্স প্রোগ্রামে প্রবেশের জন্য সাধারণত Bachelor’s degree-এ CGPA ৩.০০ বা অনুরূপ অর্জন করা থাকতে হয়।

এই মানদণ্ডগুলো তার মানে নয় যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একরকম পয়েন্ট লাগবে — এটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্সভেদে বেশ পরিবর্তনশীল।

মাস্টার্স ভর্তি হতে কেন পয়েন্ট ভিন্ন হতে পারে ?

  1. বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে নিয়ম
    প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রবেশ নীতিমালা থাকতে পারে। যেমন উচ্চ র‍্যাংক বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশেষ বিভাগে পয়েন্ট বা GPA কাট-অফ বেশি হতে পারে।
  2. কোর্স ভিন্নতা
    মাস্টার্স কোর্স যেমন এমবিএ, এমএসসি, এমএ ইত্যাদিতে ভর্তির জন্য আলাদা অ্যাকাডেমিক স্ট্যান্ডার্ড থাকতে পারে। ভারী গবেষণা-ভিত্তিক কোর্সে সাধারণত GPA চাহিদা বেশি হয়।
  3. ক্রেডিট সিস্টেম ও CGPA স্কেল
    কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে বা বিভাগে গ্রেডিং বা ক্রেডিট পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, যা পয়েন্ট গণনায় প্রভাব ফেলতে পারে।
  4. বিশেষ শ্রেণি (ইন-সার্ভিস, ফেলোশিপ)
    কিছু জায়গায় ইন-সার্ভিস প্রার্থীদের জন্য শর্ত আলাদা হতে পারে বা গুনতি করা পয়েন্টের নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ BSMRAU-তে ইন-সার্ভিস প্রার্থীদের জন্য স্বল্প কিছু ছাড় থাকতে পারে।

মাস্টার্স ভর্তি প্রস্তুতির জন্য কিছু পরামর্শ

  • আপনার বর্তমান GPA বিচার করুন
    মাস্টার্সে আবেদন করার আগে আপনার ব্যাচেলর স্নাতক গ্রেড বা CGPA ভালোভাবে বিশ্লেষণ করুন। যদি আপনার CGPA খুব কম হয়, তাহলে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভাগে আবেদন করার সুযোগ সীমাবদ্ধ হতে পারে।
  • লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন
    আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোর্সগুলোর মাস্টার্স ভর্তির উদ্যোগ এবং প্রবেশযোগ্যতার জন্য তাদের বিজ্ঞপ্তি ও প্রবেশ নীতিমালা মনোযোগ দিয়ে দেখুন।
  • ব্যাক-আপ পরিকল্পনা রাখুন
    যদি প্রথম পছন্দে প্রবেশ না হয়, তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় বা কোর্সে আবেদন করার বিকল্প রাখুন।
  • অতিরিক্ত স্কোর বা অভিজ্ঞতা কাজে লাগান
    কিছু ক্ষেত্রে গবেষণা কাজ, কাজের অভিজ্ঞতা, প্রকাশনা বা প্রাসঙ্গিক ইন্টার্নশিপ আপনার আবেদনকে শক্তিশালী করতে পারে এবং ভর্তি কমিটি আপনার প্রোফাইল ভালোভাবে দেখবে।
  • নিয়মিত আপডেট ফলো করুন
    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা ভর্তি নির্দেশিকা নিয়মিত চেক করুন কারণ বছরের পর বছর প্রবেশ নীতি পরিবর্তন হতে পারে।

সর্বোপরি, মাস্টার্স ভর্তি হতে নির্দিষ্ট “পয়েন্ট” বলতে মোট GPA + অন্যান্য শর্তাবলীর মিশ্রণ বোঝানো হয়। যদিও কিছু সাধারণ দিক আছে যেমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে CGPA ৩.০০ বা তার বেশি প্রয়োজন তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্সে পয়েন্ট এবং গ্রহণযোগ্যতার মানদণ্ড আলাদা হতে পারে। আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভালো হবে বিশ্ববিদ্যালয়-নির্দিষ্ট প্রবেশ গাইডলাইন এবং গত বছরের কাট-অফ বিশ্লেষণ করা। তাহলে আপনি নিজের প্রস্তুতি আরও সুসংগঠিত করতে পারবেন এবং মাস্টার্স ভর্তিতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে পারবেন।

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *