সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতারের সময় হয়। সময় হওয়া মাত্র ইফতার করা উত্তম। ইফতার করার পূর্বে ইফতারের দোয়া পড়তে হয়। আকাশে মেঘ থাকলে কিছু বিলম্বে ইফতার করতে হয়। সূর্য অস্ত যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হলে বিলম্ব করা মাকরূহ।
তবে বর্তমান সময়ে যেহেতু সবার কাছে ঘড়ি থাকে এবং পূর্ব থেকে সবার জানা থাকে যে আজকে ইফতার কখন। তাহলে সে সময় অনুযায়ি ইফতার করে নিতে পারবে।
আরো পড়ুন:- রোজার নিয়ত বাংলা এবং আরবি
কেউ মনে করছে যে, সূর্য অস্ত গেছে এবং সে ইফতার করেছে, কিন্তু পরক্ষণে সে জানাতে পারলো, সূর্য অস্ত হয়নি। তার ঐ রোযা ভঙ্গ হয়েছে, সুতরাং কাযা আদায় করতে হবে, কাফফারা দিতে হবে না।
শুকনা খেজুর বা খোরমা দিয়ে ইফতার করা উত্তম। তা না পেলে অন্য কোন মিষ্টান্ন বা ফল দ্বারা ইফতার করা ভাল ।
ইফতারের পর বা ইফতার করাকালীন সময় দোয়া
হযরত মোহাম্মদ (স.) ইফতার করার সময় নিচের দোয়াটি পড়তেন-
ইফতারের সময় করণীয়
ইফতারের সময় বেশি বেশি ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করা। | ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা। |
ইফতারের সময় অন্য কাজে ব্যস্ত না থাকা। | খেজুর, সাদা পানি অথবা দুধ দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ জামাতে পড়া। |
রোজার অবশ্যকীয় মাসআলা
- মুখের থুথু গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হয় না, থুথুর পরিমাণ যতই হউক না থুথুর চেয়ে রক্ত কম হয় এবং যিহবায় রক্ত অনুভব না করে তবে তার দ্বারা রোযা নষ্ট হয়ে
- মুখের ভিতর হতে রক্ত বের হলে থুথুর সাথে মিশ্রিত হয়ে যদি থুথুর পরিমাণ হতে রক্ত অনুভূত হয় এবং তা খেয়ে ফেলে তবে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
- বিড়ি, সিগারেট ও হুক্কা পান করলে রোযা নষ্ট হয়ে যায়। আগরবাতি ও ধুপ জ্বালিয়ে রোযাদার নিজে ঘ্রাণ নিলে রোযা নষ্ট হয় কিন্তু আগর, গোলাপের খুশবু গ্রহণ করলে রোযা নষ্ট হবে না।
- রোযার দিনে স্ত্রীলোক হায়েয হতে পাক হলে দিনের বাকী সময় কিছু পানাহার করবে না । কিন্তু ঐ দিন রোযাদার হিসাবে গণ্য হবে না ।
- শেষ রোযার দিন সূর্যাস্তের পূর্বে ঈদের চাঁদ দেখা গেলেও দিনের বাকী সময় কছু খাওয়া দুরস্ত হবে না।
- রোযার মাসে ফরয গোসল রাত্রেই করতে হবে। দিনে করলে রোযার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
- স্ত্রীলোকের রোযার মাসে অল্প রাত্রি থাকতে স্রাবের রক্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু গোসল করা বা সেহরী খাওয়ার সময় নেই তবু তাকে রোযার নিয়্যত করে রোযা রাখতে হবে এবং এর পর গোসল করবে।
- রোযাদার কোন খাদ্য বস্তু কিংবা ঔষধ সেবন করলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং ঐ রোযার ক্বাযা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব।
- রোযা অবস্থায় দিনে স্বপ্নদোষ হলে রোযা ভঙ্গ হবে না।
- রাত্রিকালে সাহরী খাওয়ার পরে মুখে পান ভরিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে এবং ঐ অবস্থায় ভোর হয়ে গেলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে এবং ক্বাযা করতে হবে। কাফফারা দিতে হবে না।
আরো পড়ুন:- তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া এবং মোনাজাত