তারাবির নামাজের দোয়া

তারাবির নামাজের নিয়ম, দোয়া, মোনাজাত ও নিয়ত

তারাবির নামাজ রমজান মাসে রাতের এক বিশেষ ইবাদত, যা আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা ও ক্ষমা প্রার্থনা করতে পড়ি। তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া, মোনাজাত এবং রাকাত সংখ্যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারাবির নামাজ  সাধারণত ৮ থেকে ২০ রাকাত পড়া হয়, যা ইমামের নেতৃত্বে সম্পন্ন করা হয়।

তারাবির নামাজের নিয়ত করা প্রয়োজন, যাতে এটি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে গ্রহণযোগ্য হয়। তারাবির নামাজের দোয়া ও মোনাজাত করাও নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তারাবির নামাজের মোনাজাতে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা, রহমত ও কল্যাণ প্রার্থনা করি।

আজকের এ আর্টিকেলে আমরা তারাবির নামাজের নিয়ম, তারাবির নামাজের মোনাজান, তারাবির নামাজের নিয়ত এবং তারাবির নামজ কত রাকাত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো-

তারাবির নামাজ কি: পবিত্র রমজান মাসের প্রথম রাত হতে আরম্ভ করে শাওয়ালের চাঁদ উঠা পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে এশার নামাজের পর এবং বেতরের পূর্বে দুই রাকআত করে দশ সালামে বিশ রাকআত নামাজ পড়তে হয়। একে তারাবির নামাজ বলে।

তারবির নামাজ সুন্নতে মোয়াক্কাদা। তারাবির নামাজ জামাআতে পড়া উত্তর। তবে জামাআতে না পড়তে পারলে একাকী পড়বেন। মেয়েলোকগণ গৃহে একাকী তারাবির নামাজ আদায় করবেন। ইমাম কোরআনে হাফেজ হলে তারাবির নামাজে এক খতম কোরআন পাঠ করে নামাজ আদায় করবে।

তারাবির নামাজের দোয়া (Tarabi Namaz Dua)

তারাবির নামাজের দোয়া মূলত সুন্নত নামাজের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সাধারণত প্রতি চার রাকআতে পর পর পড়া হয়। তারাবির নামাজের সময় যে দোয়া গুলো পড়া হয় তা মূলত আল্লাহর কাছে বান্দার অনুরোধ, ক্ষমা, বিপদ থেকে মুক্তি এবং দয়ার প্রার্থনা।

কিছু দোয়া বা আছর সাধারণভাবে তারাবির নামাজে পড়া হয়, তবে এটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত ইবাদতেও ভিন্ন হতে পারে। এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ তারাবির নামাজের দোয়া এবং বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ দেওয়া হলো:

তারাবির নামাজের দোয়া আরবিতে

سُبْحانَ ذِي الْمُلْكِ وَالْمَلَكُوتِ سُبْحانَ ذِي الْعِزَّةِ وَالْعَظْمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَيِّ الَّذِيْ لَا يَنَامُ وَلَا يَمُوْتُ اَبَدًا اَبَدَ سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنا وَرَبُّ المْلائِكَةِ وَالرُّوْحِ

উচ্চারণ উচ্চারণ :

‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’

তারাবির নামাজের দোয়া আরবিতে

দোয়া করা আমাদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে সহায়তা করে। এটি আমাদের প্রয়োজন ও ইচ্ছার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে তওবা এবং সাহায্য চাওয়ার মাধ্যম।

তারাবির নামাজের দোয়া বাংলায়

তারাবির নামাজের দোয়া বাংলা উচ্চারণ পড়ার সময় শব্দগুলো সঠিক ভাবে উচ্চারণ করা এবং তাদের অর্থ বুঝে পড়া উচিত, যাতে দোয়ার পূর্ণতা অর্জন হয়। ভুল উচ্চারণ দোয়াকে অকার্যকর করতে পারে। তাই বাংলা উচ্চারণ দেখে পড়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত-

তারাবির নামাজের দোয়া বাংলায়

তারাবির নামাজের দোয়া আরবি এবং বাংলায় একসাথে ডাউনলোড করে মোবাইলে রেখে দিন। প্রতিদিন দুই বার করে পড়বেন আশাকরি খুব সহজে মুখস্থ হয়ে যাবে-

তারাবির নামাজের দোয়া আরবি এবং বাংলায়

তারাবির নামাজে নির্দিষ্ট কোনো দোয়া পড়া আবশ্যক নয়, তবে সাধারণত তারাবির নামাজের ৪ রাকআত শেষে কিছু বিশেষ দোয়া পড়া হয়ে থাকে। আমরা তারাবির নামাজের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াতের পাশাপাশি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে চাই, যেমন ক্ষমা, রহমত, হেদায়েত, শান্তি, নিরাপত্তা ইত্যাদি। তবে নির্দিষ্ট একটি দোয়া পড়তে হবে এর কোন বাধ্যবাদকতা নেই। আপনি চাইলে যে কোন একটি দোয়া পড়তে পারেন।

আরো পড়ুন:-ইফতারের দোয়া আরবি এবং বাংলা

তারাবির নামাজের মোনাজাত (Tarabi Namaz Munajat)

তারাবির নামাজের মোনাজাত হলো, তারাবি নামাজ শেষ হওয়ার পর, আল্লাহর কাছে একান্তভাবে দোয়া বা প্রার্থনা করা। মোনাজাত একটি বিশেষ প্রার্থনা, যা আমরা তারাবির নামাজের শেষে আল্লাহর কাছে করে থাকি। এতে আল্লাহর কাছে আমরা রহমত, ক্ষমা, নেকি, হেদায়েত এবং রমজানের বিশেষ বরকতের জন্য দোয়া করে থাকি।

এটি একটি সময় যেখানে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে গভীরভাবে হৃদয় থেকে প্রার্থনা করেন, বিশেষ করে রমজান মাসে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। প্রতি চার রাকাত পর পর নিচের দোয়াটি পড়তে হবে। অন্য যে কোন দোয়া-দুরূদ ও পড়া যাবে। তবে সহীহ শুদ্ধ করে পড়তে হবে অন্যথায় চুপ করে বসে থাকবে।

তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলায়-১

প্রতি চার রাকাত পর পর কিছু সময়ের জন্য বিরতি দিতে হয় আর এ সময় মোনাজাত দেওয়া হয়ে থাকে। কারো যদি মোনাজাত শুদ্ধ ভাবে মুখস্ত না থাকে তাহলে তিনি চুপ করে বসে থাকবেন।

তারাবির নামাজের মোনাজাত বাংলা উচ্চারণ সহ

মোনাজাতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে একান্তভাবে দোয়া করা হয়। এটি আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর করার সুযোগ। যখন আপনি মোনাজাত করেন, তখন আপনি আল্লাহর কাছে আপনার অন্তরের কথা বলেন, এবং এটি আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি পন্থা।

এই সময়টি আল্লাহর রহমত, ক্ষমা, দয়া এবং বরকত লাভের এক বিশেষ সময়। মোনাজাতের মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর বরকত এবং তার রহমত লাভ করতে চান।

আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে, তাঁর দয়া ও রহমত আরও বৃদ্ধি পায়।মোনাজাতের মাধ্যমে মুসলিমরা নিজেদের আত্মিক শুদ্ধতা অর্জন করতে চেষ্টা করেন।

রমজান মাস বিশেষভাবে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের মাস। মোনাজাতের মাধ্যমে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে নিজেদের দোষ মাফ এবং পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার মাধ্যমে তারা নিজেদের ভুল-ভ্রান্তি এবং গুনাহ মুছে ফেলতে চান এবং আল্লাহর দিকে আরও নিবেদিত হতে চান।রমজান মাসে তারাবির নামাজের পর মোনাজাত করা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ।

আরো পড়ুন: আজকের সেহরি ও ইফতারের সময়

তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলা (Tarabi Namaz Niyat)

তারাবির নামাজের নিয়ত হল এই নামাজটি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পড়ার সংকল্প বা ইচ্ছা করা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা রমজান মাসের রাতে এশার নামাজের পর পড়তে হয়। তারাবির নামাজের নিয়ত করাটা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি আল্লাহর কাছে আমাদের ইবাদত গ্রহণযোগ্য করার জন্য প্রয়োজনীয় একটি শর্ত।

তারাবির নামাজের নিয়ত

তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলা ভাষায় করতে হলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন, যাতে এটি শুদ্ধ হয় এবং আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।

তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ সহ-২
  • নিয়ত একান্তই মন থেকে করতে হয়। বাংলা বা আরবি যেই ভাষায় করা হোক না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার অন্তরে সংকল্প থাকা যে, আপনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবির নামাজ পড়ছেন।
  • যদি আপনি বাংলা উচ্চারণে নিয়ত করেন, তবে শব্দগুলো সঠিকভাবে উচ্চারণ করা জরুরি।
  • নিয়ত শুধুমাত্র তারাবির নামাজ পড়ার সংকল্প নয়, বরং এর সাথে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ইবাদতের উদ্দেশ্য থাকতে হবে।
  • যদিও মুখে নিয়ত পড়া যেতে পারে, তবুও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মনে মনে আল্লাহর জন্য তারাবির নামাজ রাখার সংকল্প করা।

বাংলায় নিয়ত করার সময়, নিশ্চিত করুন যে আপনি ভুলভাবে কোনো শব্দ উচ্চারণ করছেন না যা আপনার নিয়তকে অকার্যকর করতে পারে। তারাবির নামাজের নিয়ত বাংলায় বা আরবিতে যে ভাষায় করেন না কেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার অন্তরের সংকল্প। আপনার অন্তরে যদি সংকল্প না থাকে তাহলে আপনার নামাজ আল্লাহর কাছে কবুল হবেনা।

আরো পড়ুন:- রোজার নিয়ত আরবি এবং বাংলা

তারাবির নামাজের নিয়ম (Tarabi Namaz Niyom)

রমযান মাসে তারাবির নামাজ পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা। এই নামাজের অনেক তাকিদ এবং ফজিলত এসেছে। যদি কেউ তারাবিহ নামাজ পুরো মাস না পড়লে বা দুই এক দিন না পড়লে গুনাহ হবে না।

মেয়েলোকেরা সচরাচর তারাবিহের নামাজ কম পড়ে, কিন্তু এরকম কখনও করবে না এতে গুনাহগার হবে। এশার ফরজ ও সুন্নতের পর দুই রাকাত করে তারাবির নিয়ত বেঁধে বিশ রাকাত নামাজ পড়বে। এর জন্য কোনো সূরা বা দোয়া নির্দিষ্ট নেই। চার রাকাত করে নিয়ত বাঁধলেও হবে, কিন্তু দুই দুই রাকাত করে নিয়্যত বাঁধাই উত্তম। তারাবিহের বিশ রাকাত সম্পূর্ণ পড়ে তারপর বিতর পড়বে ।

তারাবির প্রত্যেক চার রাকাতের পর, চার রাকাত পরিমাণ সময় বসে বিশ্রাম করা মুস্তাহাব। কিন্তু যদি এত সময় বসে থাকলে মুসল্লীদের কষ্ট হয় বা জামাতে লোক কম হওয়ার আশংকা থাকে, তবে এত সময় বসবে না, বরং কম বসবে । এই বিশ্রামের সময় শুধু চুপ করে বসে থাকা, পৃথক পৃথক নফল নামাজ পড়া বা তসবিহ, দরুদ ইত্যাদি পড়া সব জায়েয আছে।

আমাদের দেশে ‘সুবহানা যিল মুলকে ওয়াল মালাকূতে, পড়ার এবং মুনাজাত করার যে প্রচলন আছে, তাও জায়েয আছে। কিন্তু এই দুয়া কোনো সহীহ হাদীসে নেই। আবার অনেকে এই দোয়া না জানার কারণে তারাবিহ পড়ে না। তাদেরকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, এই দোয়া না পড়লে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না, নামাজ হয়ে যাবে।

tarabi namaz niyom

যদি পারে তবে শুধু (সুবহানাল্লাহ) (সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাল্লাহিল আ’যিম) পড়বে। কিছু না পড়ে নীরবে বসে থাকলেও নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না (প্রত্যেক চতুর্থ রাকাতে মুনাজাত করা জায়েয আছে, কিন্তু বিশ রাকাতের পর বিতরের পূর্বে দুয়া করাই উত্তম) ।

যদি কারো এশার নামাজ কোনো কারণবশত ফাসেদ হয়ে যায় এবং তা বিতর বা তারাবিহের সব বা কতক পড়ার পর জানতে পারে তবে তাকে ইশার নামাজের সঙ্গে বিতর এবং তারাবিহ্নের যত রাকাত পড়েছে সবগুলো দোহরাতে হবে।

ইশার নামাজ জামাতে না পড়লে তারাবিহের নামাজও জামাতে পড়া জায়েয হবে না। এর কারণ তারাবিহ ইমাম অনুগামী, কাজেই ইশার চেয়ে তারাবিহকে সম্মান বেশি। করা জায়েয নয়।

অতএব, যদি কোথাও পাড়ার লোকেরা সবাই এশার জামাত পড়ে তারাবিহর নামাজ জামাতে পড়তে থাকে এবং দুই একজন লোকে এশার নামাজের হতে পারে, তাতে কোনো নিষেধ নেই ।

জামাত না পেয়ে থাকে, তারা ইশার নামাজ একা একা পড়ে তারাবিহের জামাতে শরীক যদি কেউ মসজিদে এসে দেখে, এশার জামাত হয়ে গিয়ে তারাবিহ শুরু হয়ে গিয়েছে, তবে সে আগে একা একা এক পার্শ্বে এশা পড়ে নিবে, তারপর তারাবিহর নামাজে শরীক হবে।

ইতিমধ্যে যে কয় রাকাত তারাবিহ তার ছুটে গেছে তা সে তারাবিহ এবং বিতর জামাতের সঙ্গে পড়ে তারপর আদায় করবে। জামাতে বিতর ছাড়বেনা যদি কয়েক জনের কিছু তারাবিহ নামায ছুটে থাকে, তারা পরে জামাত করেও তা পড়তে পারে ।

রমযান শরীফের পুরো মাসে তারাবিহর মধ্যে তরতিব অনুযায়ী একবার কুরআন শরীফ খতম করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। লোকদের অবহেলা বা অলসতার কারণে এই সুন্নত পরিত্যাগ করা উচিত নয় ।

কিন্তু যে সব লোক একেবারেই অলস কুরআন খতমের ভয়ে হয়ত তারা নামাজই ছেড়ে দিতে পারে, এরূপ আশংকা হলে তাদের জন্য সূরা তারাবিহের জামাত করে দেয়া যেতে পারে ।

সূরা তারাবিহের মধ্যে কুরআনের যে কোনো অংশ বা যে কোন সূরা পড়লেই চলে । প্রত্যেক রাকাতে কুলহুআল্লাহ সূরা পড়লেও জায়েয হবে, অথবা যদি ‘সূরা ফীল হতে সূরা নাস’ পর্যন্ত দশটি সূরার দ্বারা দশ রাকাত পড়ে, আবার দ্বিতীয় বার সূরা ফীল হতে সূরা নাস পর্যন্ত দশটি সূরার দ্বারা দশ রাকাত পড়ে, এ নিয়মও মন্দ নয় ।

মাসয়ালা : তারাবিহ নামাযে কুরআন খতমের সময় যখন কুলহুআল্লাহ সূরা আসে তখন এই সূরা তিনবার পড়া মাকরুহ। (অর্থাৎ এরূপ রেওয়াজ রছম বানিয়ে নেয়া এবং একে শরীয়তের হুকুম মনে করে আমল করা মাকরূহ, অন্যথায় নফল নামাজে বা তারাবিহের নামাজে উক্ত সূরা তিনবার করে পড়া মাকরুহ নয় ।

  • বিশ রাকাতে বিশটি সূরা বা প্রথম রাকাতে ফাতিহা বাদে একটি সূরা এবং দ্বিতীয় রাকআতে ফাতিহার সাথে কুলহুআল্লাহ পাঠ করলে ১০টি সূরা দ্বারা তারাবির নামাজ আদায় করা যায়।
  • তারাবির নামাজ জামাতে পড়লে কোরআন উচ্চ শব্দে পড়তে হয়। একাকী পড়লে কোরআন চুপে চুপে বা জোরে উভয় নিয়মে পড়া যায়। তারাবির শেষ করে বেতের পড়তে হয় । তারাবীহ জামাআতে পড়লে বেতেরও জামাআতে পড়তে হবে।

শেষকথা: তারাবির নামাজ রমজান মাসে বিশেষভাবে আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। রমজান হলো রহমত, মাগফিরাত (এবং নাজাত পাওয়ার মাস। তারাবির নামাজ আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা লাভের জন্য একটি মহা সুযোগ। যে ব্যক্তি রমজান মাসে নিয়মিত তারাবির নামাজ পড়ে সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা, শান্তি এবং মঙ্গল কামনা করতে পারে।

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *