নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো”পয়েন্ট ” নেই যা প্রতি বছর একই থাকে। কারভ এই কলেজটিসহ বাংলাদেশের সমস্ত সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া একটি জাতীয় মেধা তালিকার ভিওিতে পরিচালিত হয়। একজন শিক্ষার্থীকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে (বা যেকোনো সরকারি মেডিকেলে) ভর্তি হতে হলে, তাকে লিম্নলিখিত তিনটি প্রধান ধাপের মাধ্যমে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করতে হবে:
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া ও মেধা নির্ণয়
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ বা দেশের অন্য যেকোনো সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেতে হলে প্রার্থীকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর (DGME) কর্তৃক পরিচালিত এমবিবিএস ভর্তি পরিক্ষা এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষার জিপিএ (GPA) স্কোর- এই দুইয়ের ভিওিতে তৈরি চূড়ান্ত মেধা তালিকায় প্রথম সারিতে থাকতে হয়।
১. আবেদনের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা (GPA Point)
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে আবেদন করার প্রথম ধাপ হলো ন্যূনতম জিপিএ অর্জন করা। সাধারণত, প্রতি শিক্ষাবর্ষে এই শর্তগুলি সামান্য পরিবর্তিত হয়, তবে সাম্প্রতিক নীতিমালার মূল শর্তগুলো নিম্নরূপ:
- মোট জিপিএ: এসএসসি (SSC) ও এইচএসসি (HSC) পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এই দুই পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.০০ থেকে ৮.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে।
- একক জিপিএ: এককভাবে কোনো পরীক্ষায় (এসএসসি বা এইচএসসি) জিপিএ ৪.০০ বা ৪.৫০ এর নিচে হলে সাধারণত আবেদন করা যায় না।
- জীববিজ্ঞান (Biology): এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞানে (Biology) ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ থেকে ৪.০ থাকতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ নোট: এই জিপিএ পয়েন্টগুলো কেবল আবেদন করার যোগ্যতা নির্ণয় করে। শুধুমাত্র এই জিপিএ অর্জন করলেই ভর্তি নিশ্চিত হয় না; এর পরের ধাপ—ভর্তি পরীক্ষা—সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
২. চূড়ান্ত মেধা স্কোর নির্ধারণের পদ্ধতি
চূড়ান্ত মেধা স্কোর মোট ৩০০ নম্বর বা মোট ২০০ নম্বরের ভিত্তিতে (নীতিমালা অনুযায়ী পরিবর্তনশীল) নির্ধারণ করা হয়। এই স্কোরটি দুটি অংশ থেকে আসে:
ক) জিপিএ-এর ওপর প্রাপ্ত নম্বর: (৫০ থেকে ১০০ নম্বর)
শিক্ষার্থীর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জিপিএ-কে বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে মেধা স্কোরে যোগ করা হয়।
পরীক্ষার স্তর / মূল্যায়নের পদ্ধতি :
এসএসসি/সমমান= জিপিএ X ৮ বা ১০= ৪০ বা ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ)
এইচএসসি/সমমান= জিপিএ X ১২বা ১০= ৬০ বা ৫০ নম্বর (সর্বোচ্চ)
খ) ভর্তি পরীক্ষার নম্বর: (১০০ নম্বর)
লিখিত ভর্তি পরীক্ষা মোট ১০০ নম্বরের ওপর অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- পরীক্ষার ধরন: এমসিকিউ (MCQ) পদ্ধতিতে ১০০টি প্রশ্নের জন্য মোট ১০০ নম্বর।
- পাস নম্বর: ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হয়। এর কম পেলে অকৃতকার্য বলে গণ্য হবে এবং ভর্তির জন্য বিবেচিত হবে না।
- নেগেটিভ মার্কিং: প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য সাধারণত ০.২৫ নম্বর কাটা হয়।
৩. নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য “কত পয়েন্ট” লাগে
উপরে উল্লিখিত দুটি অংশের (জিপিএ স্কোর + ভর্তি পরীক্ষার স্কোর) যোগফল দিয়ে সর্বমোট চূড়ান্ত মেধা স্কোর তৈরি করা হয়।
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে (বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট কলেজে) ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ‘পয়েন্ট’ বা ‘স্কোর’ নির্ভর করে: - নোয়াখালী মেডিকেলে আসন সংখ্যা: এই কলেজে কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে, তার ওপর।
- মেধা তালিকায় আপনার অবস্থান: আপনার চূড়ান্ত স্কোর অন্যান্য সকল পরীক্ষার্থীর চেয়ে কতটা বেশি, তার ওপর।
- পছন্দক্রম (Choice List): আবেদন করার সময় আপনি নোয়াখালী মেডিকেল কলেজকে আপনার পছন্দের তালিকায় কত নম্বরে রেখেছেন।
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় 100 এর মধ্যে সাধারণত ৮০- এর বেশি নম্বর পেতে হয়, যাতে আপনার অবস্থান জাতীয় মেধা তালিকায় সামনের দিকে থাকে এবং কলেজ পছন্দের ভিত্তিতে আপনি নোয়াখালী মেডিকেলের জন্য নির্বাচিত হন। প্রতি বছর সর্বশেষ যে শিক্ষার্থীটি নোয়াখালী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পায়, তার প্রাপ্ত স্কোরকেই সেই বছরের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর হিসেবে গণ্য করা হয়।
- পছন্দক্রম (Choice List): আবেদন করার সময় আপনি নোয়াখালী মেডিকেল কলেজকে আপনার পছন্দের তালিকায় কত নম্বরে রেখেছেন।





