বচন অর্থ সংখ্যার ধারণা। যে শব্দ দিয়ে কোনো কিছুর সংখ্যার ধারণা প্রকাশ করা হয়, তাকে বচন বলে।
বচন কত প্রকার
বচন দু প্রকার । যথা:-
(ক) একবচন
(খ) বহুবচন।
একবচন কাকে বলে
যে শব্দ দিয়ে কোনো বস্তু, প্রাণী বা ব্যক্তির একটিমাত্র সংখ্যার ধারণা হয়, তাকে একবচন বলে। যেমন-
পাখাটি খুঁজে পাচ্ছি না । |
বোতলখানা কোথায় রাখলে? |
আকিব কি বাড়ি ফিরেছে? |
একবচন প্রকাশের নিয়ম:
ক. শব্দের মূল রূপের সাথে কিছু যোগ না করে :
আজ স্কুল ছুটি। |
বাস কুমিল্লা ছেড়েছে। |
মিতু গান শিখতে গেছে। |
খ. শব্দের শেষে টি, টা, খান, খানা, খানি, গাছ, গাছা, গাছি ইত্যাদি নির্দেশক যোগ করে :
মেয়েটি খুব চালাক । |
বইখানা আমি পড়েছি। |
তোমার কলমটা দাও তো । |
গ. শব্দের আগে এক, একটা, একটি, একখানা, একজন ইত্যাদি সংখ্যাবাচক শব্দ বসিয়ে:
তোমার সাথে একটা কথা ছিল। |
এক দেশে ছিল এক রাজা |
বহুবচন কাকে বলে
যে শব্দ দিয়ে একের অধিক সংখ্যক বস্তু, ব্যক্তি বা প্রাণীর ধারণা পাওয়া যায়, তাকে বহুবচন বলে। যেমন :
ছেলেরা মাঠে ফুটবল খেলছে। |
আমরা সেখানে গিয়েছিলাম । |
(ক) উন্নত প্রাণিবাচক মনুষ্য শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ
বৃন্দ – সুধীবৃন্দ, ভক্তবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ ইত্যাদি। |
গণ : দেবগণ, নরগণ, জনগণ ইত্যাদি । |
মণ্ডলী – শিক্ষকমণ্ডলী, সম্পাদকমণ্ডলী ইত্যাদি । |
প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দে বহুবচনে ব্যবহৃত শব্দ:
সমূহ – বৃক্ষসমূহ, মনুষ্যসমূহ ইত্যাদি। |
সব – ভাইসব, পাখিসব ইত্যাদি । |
সকল – পর্বতসকল, মনুষ্যসকল ইত্যাদি। |
কুল- কবিকুল, পক্ষিকুল, মাতৃকুল, বৃক্ষকুল ইত্যাদি। |
(গ) অপ্রাণিবাচক শব্দে ব্যবহৃত বহুবচনবোধক শব্দ
আবলি, গুচ্ছ, দাম, নিকর, পুঞ্জ, মালা, রাজি, রাশি। যেমন-
বালিরাশি ইত্যাদি । | কবিতাগুচ্ছ, মেঘকুঞ্জ |
গ্রন্থাগারে রক্ষিত পুস্তকাবলি | পর্বতমালা, তারকারাজি ইত্যাদি। |
আরো পড়ুন:- Number কাকে বলে