একবচন এবং বহুবচন

পদাশ্রিত নির্দেশক

পদাশ্রিত নির্দেশক

কয়েকটি অব্যয় বা প্রত্যয় কোনো না কোনো পদের আশ্রয়ে বা পরে সংযুক্ত হয়ে নির্দিষ্টতা জ্ঞাপন করে, এগুলোকে পদাশ্রিত অব্যয় বা পদাশ্রিত নির্দেশক বলে।

বচনভেদে পদাশ্রিত নির্দেশকেরও বিভিন্নতা প্রযুক্ত হয়।

(ক) একবচনে – টা, টি, খানা, খানি, ইত্যাদি নির্দেশক ব্যবহৃত হয়।

বইখানিবাড়িটা
টাকাটাকাপড়খানা

(খ) বহুবচনে: গুলি, গুলা, গুলো, গুলিন প্রভৃতি নিদের্শক প্রত্যয় সংযুক্ত হয়। যেমন –

আমগুলোলোকগুলো
মানুষগুলিপটলগুলিন

পদাশ্রিত নির্দেশকের ব্যবহার

১ (ক) ‘এক’ শব্দের সঙ্গে টা, টি, যুক্ত হলে অনির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন-

একটি দেশএকটি কলম

কিন্তু অন্য সংখ্যাবাচক শব্দের সাথে টা, টি যুক্ত হলে নির্দিষ্টতা বোঝায়। যেমন-

পাঁচটি টাকাবারোটি বছর

(খ) নিরর্থকভাবেও নির্দেশক টা, টি-র ব্যবহার লক্ষণীয়। যেমন-

সারাটি সকাল তোমার আশায় বসে আছি।

(গ) নির্দেশক সর্বনামের পরে টা, টি যুক্ত হলে তা সুনির্দিষ্ট হয়ে যায়। যেমন-

সেইটেই ছিল আমার প্রিয় বই ।ওটি যেন কার তৈরি?

২. টাক, টুক, টুকু, টো ইত্যাদি পদাশ্রিত নির্দেশক নির্দিষ্টতা ও অনির্দিষ্টতা উভয় অর্থেই ব্যবহৃত হয় । যেমন-

পোয়াটাক দুধ দাও (অনির্দিষ্টতা)।সবটুকু ওষুধই খেয়ে ফেলো (নির্দিষ্টতা) ৷

৩. বিশেষ অর্থে, নির্দিষ্টতা জ্ঞাপনে কয়েকটি শব্দ : তা, পাটি ইত্যাদি। যেমন-

তা : দশ তা কাগজ দাও ।পার্টি : আমার একপাটি জুতো ছিঁড়ে গেছে।

আরো পড়ুন:- দ্বিরুক্ত শব্দ: শব্দের দ্বিরুক্তি পদের দ্বিরুক্তি ধ্বন্যাত্মক দ্বিরুক্তি

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *