বন্যা হল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা অতিরিক্ত পরিমাণে পানি জমে যাওয়ার জন্য হয়ে থাকে। বন্যার ফলে ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি এবং সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। নদী, হ্রদ, সমুদ্র বা অন্যান্য জলাশয় থেকে পানি বিস্তৃত হওয়ার ফলেও বন্যা হতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের বন্যা
মৌসুমি বন্যা: এই ধরনের বন্যা ঋতুগত বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটে থাকে।
আকস্মিক বন্যা: এই ধরনের বন্যা অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাতের কারণে হয়।
জোয়ারের কারণে বন্যা: এই ধরনের বন্যা জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে হয়।
পাহাড়ি ঢল: এই ধরনের বন্যা পাহাড়ের ঢাল থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং ধ্বংসাবশেষের প্রবাহের কারণে হয়ে থাকে। এ ধরণের বন্যা পাহাড়ি এলাকায় বেশি হয়।
বন্যার কারণ
অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত: বেশিরভাগ বন্যার জন্য দায়ী অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত। আমাদের দেশে সাধারণত অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দেয়।
জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে।
নদীর বাঁধ ভেঙে পড়া: হঠাত নদীর বাঁধ ভেঙে পড়ার ফলেও বন্যা হতে পারে।
বন্যার ক্ষতিকর প্রভাব
ক্ষয়ক্ষতি: বন্যায় ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, সেতু এবং অন্যান্য অবকাঠামো ব্যপক পরিমানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রাণহানি: বন্যায় মানুষ, পশুপাখি এবং উদ্ভিদ প্রাথহানি ঘটে থাকে। উপকূলীয় এলাকায় প্রাথহানির সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে।
সম্পদের ক্ষতি: বন্যায় জিনিসপত্র, খাদ্য এবং অন্যান্য সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পারে।
বন্যার ঝুঁকি কমাতে রকণীয়:
- বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি স্থাপন এড়ানো বা পরিকল্পনা মোতাবেক বসতি স্থাপন করা।
- নদীর বাঁধ এবং অন্যান্য পানি ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ করা।
বন্যার সময় নিরাপদ থাকার জন্য করণীয়:-
- স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসকের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
- ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
আরো পড়ুন:- বায়ু দূষণ কাকে বলে