রাশি চক্রের পঞ্চম রাশি হলো সিংহ। সিংহ রাশির অধিকর্তা গ্রহ রবি।এই রাশির ব্যক্তিরা সাধারনত খুবই স্মার্ট হয়ে থাকেন। এদের দৈহিক গটন খুবই সুন্দর হয়ে থাকে।
এরা খুবই শান্ত সভাবের হয়ে থাকে। খুব কম সংখ্যাক মানুষকে এরা আপন ভাবে। পড়াশুনার প্রতি এরা একটু উদাসিন হয়ে থাকে।
প্রেম ভালো বাসার ক্ষেত্রে এরা বেশ এগিয়ে । এরা একাদিক প্রেম করতে পছন্দ করে। পেশাগত জীবনে এরা ব্যবসা থেকে চাকরিকে প্রধান্য দিয়ে থাকে।
সিংহ রাশি
শুভ দিন | সোম |
শুভ রং | কমলা |
শুভ রত্ন | চুনি |
শুভ দিক | পূর্ব |
শুভ সংখ্যা | ৩ এবং ৯ |
আরো জানুন: কন্যা রাশির বৈশিষ্ট্য
সিংহ রাশির ভাগ্য
সিংহ রাশিতে যায় ২১শে জুলাই কিন্তু সাতদিন পূর্বতন গ্রহ গ্রহ কর্কটের প্রভাব থাকে বলে ২৮শে জুলাই-এর আগে পূর্ণ শক্তিশালী হতে পারে না। এই সময় থেকে ২০শে আগস্ট পর্যন্ত পূর্ণ শক্তিমত্তার সঙ্গে বিরাজ করে, তারপর ৭ দিন ক্রমশ ক্ষমতা হারাতে হারাতেআগত চিহ্ন কন্যার গ্রাসে পতিত হয়।
যে জাতক এই সময় জন্মগ্রহণ করেন, তাঁরা সবসময়েই সাধারণের থেকে উঁচুতে থাকতে চান এবং ফলে এঁরা স্বভাবতই যাঁরা প্রবল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং ফলে যাঁদের এঁরা ভক্তি করেন তাঁদের দোষ-ত্রুটি এঁদের চোখেই পড়ে না যতক্ষণ এঁদের ভক্তির পাত্রের ব্যক্তিত্ব এবং নিষ্ঠার পরিচয় পান।
এই সময় যাঁরা জন্মগ্রহণ করেন তাঁদের মনুষ্যজাতির হৃদয় বলা যেতে পারে। সমবেদনায় এঁদের হৃদয় সবসময়ই মথিত হয় এবং সাধারণতঃ অপরের ভুলত্রুটি এঁরা অতি সহজেই ক্ষমা করেন। এঁরা লক্ষ শত্রুর বিপক্ষে এঁদের বন্ধুকে রক্ষা করেন এবং একমাত্র বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতারণাএঁদের মহৎ অন্তঃকরণকে অসহনীয় কষ্ট দিতে পারে।
আরো পড়ুন: তুলা রাশির বৈশিষ্ট্য
এঁরা অত্যন্ত সত্যবাদী এবং সাধু প্রকৃতির হন, কিন্তু এঁরা সময় সময় ভীষণভাবে প্রতারিত হন এবং ফলে শেষের দিকে রুক্ষ, শক্ত এবং লোকের খুঁত ধরবার প্রয়াসী হয়ে থাকেন। এঁদের সচরাচর অর্থের ব্যাপারে কপাল খুব ভাল হয় এবং প্রায়ই অচিন্তাহীর সূত্র থেকে এঁরা অর্থ পেয়ে থাকেন।
কিন্তু এঁদের আকাঙ্খা হচ্ছে নিখাদ সোনার মত প্রেম বা এঁরা খুব কম ক্ষেত্রেই পেয়ে থাকেন। নেতা হিসাবে অপরকে উৎসাহিত করবার শক্তি এঁদের আছে- নেপোলিয়নের মতো, যিনি এইসময় জন্মেছিলেন—এঁরা মৃত্যু বা অগ্নির মধ্যে দিয়ে এঁদের দলের লোকদের পরিচালনা করতে পারেন।
এঁরা অত্যন্ত গর্বিত প্রকৃতির হন সেইজন্যে এই দিক দিয়ে কোন আঘাত দ্বিগুণভাবে এঁদের মধ্যে ধ্বনিত হয়। এই সময় জন্মগ্রহণ করলে জাতক খুব উচ্চমনা এবং সদাশয় হন।
এঁরা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা হন এবং কেউ এঁদের কর্তৃত্ব করে বা চালায় তা এঁরা চান না। এদের ইচ্ছাশক্তি অতি প্রবল এবং কোন কাজে লেগে থাকবার ক্ষমতাও অসীম। একবার যদি এঁরা মন স্থির করে কোন কাজে বা
পরিকল্পনায় লেগে যেতে পারেন তবে সাধারণতঃ এঁরা এঁদের লক্ষ্যস্থলে পৌছাবেনই যত বাধা বিঘ্নই চলার পথে এদের অতিক্রম করতে হোক না কেন।
তবে এসময় যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাঁদের সবসময়েই কোন না কোন কাজে লেগে থাকা উচিত। যদি কার্যক্রমে জীবনযুদ্ধের কঠোরতা এবং শান্তি থেকেএদের কখনও সরে দাঁড়াতে হয়, তবে সচরাচর এঁরা স্বেচ্ছাচারী হয়ে পড়েন এবং অনেক অনৈসর্গিক চিন্তা এদের মাথায় এসে ভীড় করে।
নিয়তান্ত্রিকভাবে এঁরা অত্যন্ত স্থির এবং খুব কষ্টাসহিষ্ণু, কিন্তু একবার যদি এঁরা উত্তেজিত হন তখন ঠিক সিংহের মতই নির্ভীকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং নিজেরাও বুঝতে পারেন না কখন তাঁরা হারলেন বা হার স্বীকার করলেন।
এঁরা সচরাচর স্পষ্ট ভাষণের জন্যে শত্রুর সৃষ্টি করে থাকেন এবং কোন কিছু গর্হিত কার্যের জন্য ঘৃণা বা কেউ যদি কিছু চাপতে চেষ্টা করে এঁরা সহ্য করতে পারেন না বলেও অনেক শত্রু সৃষ্টি করে থাকেন।
কর্তব্যকর্মে নিষ্ঠা এঁদের অপরিসীম, ইচ্ছাশক্তিও প্রবল এবং লেগে থাকার শক্তিও এদের আছে। কিন্তু এরা সচরাচর সবচেয়ে শক্ত বিপজ্জনক কাজের দিকেই এগোতে চান বেশী।
বড় বড় সৈনিক, আর্থিক জগতের উপদেষ্টা, কোটিপতি এবং জননেতা এই সময় জন্মগ্রহণ করেছেন। সাধারণভাবে, এই সময় যে জাতক জন্মগ্রহণ করেন তাঁরা একটু জীবনে একা এবং অপর লোকদের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন এবং যদি বিশেষ কোন লক্ষ্য এবং কার্যে লেগে না থাকেন তবে তাঁরা বিষাদখিন্ন এবং স্বেচ্ছাচারী হয়ে পড়েন।
আরো পড়ুন: মেষ রাশির বৈশিষ্ট্য