বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কত পয়েন্ট লাগবে

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কত পয়েন্ট লাগবে

বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের অন্যতম বড় প্রশ্ন হলো—কত পয়েন্ট (GPA) লাগবে? কারণ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নীতিমালা থাকে এবং বোর্ড পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ভর্তি যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট জিপিএ মানদণ্ড রয়েছে। তাই আগে থেকেই এই নিয়ম সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি।


পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় GPA

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য সাধারণত ন্যূনতম জিপিএ ৭.০ থেকে ৮.০ পর্যন্ত প্রয়োজন হয় (এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে)। তবে ইউনিটভেদে ভিন্নতা থাকে।

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ক ইউনিটে সাধারণত ন্যূনতম GPA ৮.০, খ ও ঘ ইউনিটে GPA ৭.৫ লাগে।
  • চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: বেশিরভাগ ইউনিটে GPA ৭.০–৭.৫।
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: প্রায় GPA ৭.০ প্রয়োজন।
  • জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: গড়ে GPA ৮.০ প্রয়োজন হয়।

বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় GPA

বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন মেডিকেল, প্রকৌশল বা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে জিপিএর মানদণ্ড আরও কঠোর হয়।

  • মেডিকেল কলেজ: সাধারণত GPA ৯.০ (SSC ও HSC মিলিয়ে), এবং জীববিজ্ঞানে ন্যূনতম GPA ৩.৫ থাকতে হবে।
  • BUET (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়): GPA ৪.৫ এর নিচে কোনো বিষয় গ্রহণযোগ্য নয় এবং মোট GPA ৮.০+ থাকতে হবে।
  • কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ: গড়ে GPA ৭.৫+ প্রয়োজন হয়।

ভর্তির যোগ্যতা অর্জনে শিক্ষার্থীদের করণীয়

শিক্ষার্থীদের শুধু GPA নয়, বরং ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও মনোযোগী হতে হবে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে GPA শর্ত পূরণ করলেও ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি সম্ভব নয়।

  • SSC ও HSC উভয় পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের চেষ্টা করুন।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে পড়াশোনার অভ্যাস করুন।
  • বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন।
  • যে বিষয়গুলোতে দুর্বলতা আছে সেগুলোতে বেশি সময় দিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে GPA একটি বড় শর্ত হলেও এটি একমাত্র শর্ত নয়। ভর্তি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারলেই মূলত কাঙ্ক্ষিত আসন পাওয়া সম্ভব। তাই SSC ও HSC-তে উচ্চ GPA অর্জনের পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার জন্যও ধারাবাহিক প্রস্তুতি নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। যারা সময়মতো পরিকল্পনা করে প্রস্তুতি নেবে, তারাই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে।

Share this

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *