বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিযোগিতা দিন দিন বাড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী ভালো ফলাফল করেও ভর্তি হতে পারে না, আবার কেউ কেউ জিপিএ কিছুটা কম পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে। তবে সুখবর হচ্ছে — জিপিএ কম হলেও দেশে এমন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে আপনি সহজেই ভর্তি হতে পারেন। শুধু সঠিক তথ্য জানা থাকলে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়: জিপিএ কম হলেও সুযোগ
জিপিএ কম থাকলে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পাওয়া কিছুটা কঠিন, কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ নমনীয় নিয়ম অনুসরণ করে।
👉 উদাহরণস্বরূপ –
- ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক (UAP)
- ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি (EWU)
- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (NSU)
- ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (IUB)
এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে অথবা সরাসরি আবেদন করে ভর্তি হওয়া যায়। তারা সাধারণত জিপিএ ২.৫ বা তার নিচে থাকা শিক্ষার্থীদেরও বিবেচনা করে থাকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স প্রোগ্রাম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (NU) হলো বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে প্রায় সব জেলায় অনার্স প্রোগ্রাম চালু আছে।
জিপিএ কম হলেও এখানে ভর্তি হওয়া তুলনামূলক সহজ, কারণ ভর্তি প্রক্রিয়া মূলত মেরিট লিস্ট এবং আবেদনভিত্তিক সিস্টেমে পরিচালিত হয়।
👉 উদাহরণস্বরূপ –
- সরকারি কলেজ (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত)
- বেসরকারি কলেজ (NU অনুমোদিত)
এখানে জিপিএ ২.০০ থাকলেও নির্দিষ্ট বিষয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে।
টেকনিক্যাল ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
যাদের জিপিএ কম, তাদের জন্য টেকনিক্যাল শিক্ষা হতে পারে ভবিষ্যতের দারুণ সমাধান। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি হতে সাধারণত ন্যূনতম জিপিএ ২.০০ লাগলেও শিক্ষার্থীরা সহজেই ভর্তির সুযোগ পায়।
এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় বিভিন্ন ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম যেমন —
- কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং
- ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং
এসব কোর্স শেষ করে চাকরির সুযোগও অনেক বেশি।
জিপিএ কম মানেই ভবিষ্যৎ শেষ নয়। বাংলাদেশে এখন এমন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা, আগ্রহ এবং প্রতিভাকে প্রাধান্য দেয়, শুধুমাত্র গ্রেড নয়। তাই হতাশ না হয়ে নিজের উপযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বা কোর্স বেছে নিয়ে আগাতে হবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে। মনে রাখবেন, জিপিএ নয় — চেষ্টা এবং অধ্যবসায়ই সফলতার আসল চাবিকাঠি।





